Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মাসিক সভা সমূহ

মে/২০২৪ মাসের মাসিক সভার কার্যবিবরনী

সভার তারিখঃ ১৬/০৫/২০২ইং

স্থানঃ কোলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়

অদ্যকার সভার সভাপতিত্ব করেন অত্র কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব এ,এইচ,এম সাইফুল ইসলাম। প্রথমেই তিনি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য।অতপরঃ আলোচ্যসূচি অনুযায়ী সভার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্র পরিষদের সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনকে আহবান করেন।

সভার বিবেচ্য বিষয় ও আলোচনাঃ

১।বিগত সভার কার্যবিবরনী পাঠ ও অনুমোদন।

 ২। আইন শৃঙ্খলা, মাদক ও বাল্যবিবাহ নিয়ে আলোচনা।

৩। উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ২০২৩-২০২৪ এর ২য় কিস্তির দ্বারা প্রকল্প গ্রহণ।

৪। ১% এর ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ১৬০০০০০/= বরাদ্দ দ্বারা প্রকল্প গ্রহণ।

৫। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রাক বাজেট সভার আয়োজন ও তারিখ নির্ধারন।

৬। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যযক্রম ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম।

৭। তাপদাহে করনীয়।

৮। গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ।

৯। ০৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সুজন এর অনুপস্থিতির তথ্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ।

**১ম আলোচনা ও সিধান্তঃ ১ম আলোচনায় বিগত সভার কার্যবিবরনী পাঠ করে শুনানো হয় এবং এতে কোনো প্রকার সংশোধনী না থাকায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের সিধান্ত গৃহিত হয়।

 **২য় আলোচনা ও সিধান্তঃ ২q Av‡jvPbvq ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে,  সকলকে আইনের আওত্তায় থাকতে হবে এবং সরকারী আইন সমূহ যথাযথ পালন করতে সকলকে আহবান জানান,এবং এলাকায় শান্তি বিরাজ রাখার জন্য সকলের সাহায্য সহযোগিতা প্রত্যাশা জ্ঞাপন করে এবং ব্যাপক আলাপ আলোচনা করে নিম্মলিখিত  সিধান্ত গৃহিত হয়ঃ

১। প্রতি শুক্রবার জুম্মার খুতবায় সন্ত্রাশ ও জজ্ঞীবাদের কুফল ও জাতীয় মসজিদ বাইতুল জামে মসজিদের খুতবা পাঠ করতে হবে।

২। সমাজের প্রতিটি পরিবারের তাদের সন্তান্দের খোজ খবর রাখতে হবে যেন তারা সন্ত্রাস ও জজ্ঞীবাদে জড়িত না হয়।

৩। সমাজে কোন বিশৃংখলা না ঘটে এমন কোনো মতবাদ প্রচার করা যাবে না।

৪। প্রত্যেক ওয়ার্ড কমিটির সভায় সন্ত্রাস ও জজ্ঞীবাদের এর কুফল নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

৫। একজন মাদক সেবন কারী ব্যক্তি একটি পরিবার ধংস করার জন্যই যতেষ্ট এবং একটি সমাজ ও জাতিও ধংস করে দেয়।  মাদকদ্রব্য মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। দেশে এখন কত রকমের মাদক আসছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। দেশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের বিস্তার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল- সর্বত্রই এখন হাতের নাগালে পাওয়া যায় এসব। বিগত বছরগুলোয় এর বিস্তার ঘটেছে আশঙ্কাজনকভাবে।মাদকদ্রব্য কেনাবেচা ও সেবনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হচ্ছে ভয়ংকর সব অপরাধ। কাজেই মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব না হলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে। তাই কোলা ইউনিয়ন পরিষদ এর সকলে আইন শৃংখলাবাহিনীর সাথে একযোগে কাজ করতে হবে এবং সময়ে সময়ে তাদের সাথে ওয়ার্ডে গিয়ে টহলের ব্যবস্থা করতে হবে  এই  সিধান্ত সর্ব সম্মতি ক্রমে গৃহীত হয়।  

**৩য় আলোচনা ও সিধান্তঃ ৩য় আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে, কোলা ইউনিয়নের আওত্তায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের  উন্নয়ন সহায়তা তহবিল খাতের ২য় পর্যায়ের ৩৫৮৩০০/= (তিন লক্ষ আটান্ন হাজার তিনশত টাকার  বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সভায় সকলে ব্যপক আলাপ আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত বরাদ্দ দ্বারা  নিম্ন লিখিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য গ্রহণ করা হলোঃ 


ক্র. নং

প্রকল্পের নাম

অবস্থান

ধরন

প্রয়োজনীয় বরাদ্দ

০১

থৈরগাও ও গৌরিপুরা গ্রামে দরিদ্র মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১৮টি সেলাই মেশিন সরবরাহ

থৈরগাও ও গৌরিপুরা ০৮নং ওয়ার্ড

মানব সম্পদ উন্নয়ন

২০০০০০টাকা

০২

ছাতিয়ানতলী সিএমবি রোড হতে দাস বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা পুনঃনির্মান

ছাতিয়ানতলী ০৮নং ওয়ার্ড

যোগাযোগ

১৫৮৩০০/=

মোটঃ

৩৫৮৩০০/=


**৪র্থ আলোচনা ও সিধান্তঃ ৪র্থ আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে, কোলা ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ১%রেজ্রিঃ  খাতের  ১৬০০০০০/= (ষোলো লক্ষ) টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।  ১% রেজ্রিঃ খাতের বরাদ্দ দ্বারা সভায় সকলে ব্যপক আলাপ আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত বরাদ্দ দ্বারা  নিম্ন লিখিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য গ্রহণ করা হলোঃ 


ক্রম

প্রকল্পের নাম

অবস্থান

ধরণ

প্রয়োজনীয় বরাদ্দ

০১

কোলা ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখ অংশ বালু ভরাট ও অবশিষ্টাংশ আর সিসি ঢালাইকরণ ও ২টি পাকা ব্যাঞ্চ স্থাপন

কোলা ০৫নং ওয়ার্ড

যোগাযোগ

৫০০০০০/=

০২

হাতরপাড়া মেইনরোড হইতে দ্বীন ইসলামের ডাক্তারের বাড়ী হয়ে জব্বর শেখের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মান

গৌড়িপুরা ০৯ নং ওয়ার্ড

যোগাযোগ

২০০০০০/=

০৩

গৌড়িপুরা গাঙ্গুলী বাড়ি ব্রীজ হইতে মন্দির পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মান

গৌড়িপুরা ০৯ নং ওয়ার্ড

যোগাযোগ

১০০০০০/=

০৪

গৌড়িপুরা দশরথ দাসের বাড়ি হইতে আবু কালামের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মান

গৌড়িপুরা ০৯ নং ওয়ার্ড

যোগাযোগ

৩০০০০০/=

০৫

ছাতিয়ানতলী রুবেলের বাড়ি হইতে আলী হোসেন মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মান

ছাতিয়ানতলী ০৭নং ওয়ার্ড

যোগাযোগ

২০০০০০/=

০৬

কোলা ইউনিয়নের ০১-০৯ নং ওয়ার্ডে নতুন রাস্তায় বৃক্ষের চরা রোপণ

০১-০৯ নং ওয়ার্ড

বৃক্ষ রোপণ

২৩০০০০/=

০৭

ছাতিয়ানতলী উত্তর পাড়ার মসজিদের দেয়াল নির্মান

ছাতিয়ানতলী ০৭নং ওয়ার্ড

অন্যান্য

৭০০০০/=

                          মোটঃ

১৬০০০০০/=



**৫ম আলোচনা ও সিধান্তঃ ৫ম আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ইতিপূর্বে অত্র পরিষদের ৯টি ওয়ার্ড সভার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায় হতে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।সেই আলোকে একটি খসড়া বাজেট প্রণয়ন হয়েছে । এই খড়সা বাজেটটি উন্মুক্ত সভার মাধ্যমে ইউনিয়নের সকলের মাঝে তুলে ধরার জন্য একটি তারিখ নির্ধারন ও আনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। এই অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ,সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারী/সাংবাদিক সহ সর্বস্তরের জনগণকে আগামী ২৭/০৫/২০২৪ তারিখে উন্মুক্ত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রাক বাজেট সভার অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেওয়ার সিধান্ত গৃহিত হয়। এই অনুষ্ঠানে সবাইকে হালকা আপ্যায়নের সিধান্ত গৃহীত হয়।


**৬ষষ্ঠ আলোচনা ও সিধান্তঃ ৬ষ্ঠ আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে, কেউ জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করলে ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যায়ে এ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ৬ অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ ঘোষণা করে সরকার।২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষকে নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন আইনে সবাইকে জন্ম ও মৃত্যুর ৪৫ দিনের  মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে ‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস’কে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বর্তমানে এ নিবন্ধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ৫০ টাকা করে ফি নেয়। সঠিক নিবন্ধন না থাকায় অনেকে বয়স লুকান। নতুন আইনের কারণে আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সকল কে এক যোগে কাজ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি ,সকলকে বেগবান হয়ে কাজ করতে হবে , গ্রাম পুলিশরা গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে খোজ খবর নিয়ে রেজিস্টারে এন্টি করবে এবং  তাদের ফোন নাম্বার নিয়ে আসবে এবং জরুরী ভাবে জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন করার জন্য বলবে । নতুন শিশু জন্ম গ্রহণ করলে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবে সেই সাথে একটি নিবন্ধন ফরম পাঠাবে যাতে জন্ম নিবন্ধন দ্রুত করতে পারে এবং মৃত্যু বরণ করলে শোক বার্তা পাঠিয়ে পরিবার কে শান্তনা দিয়ে  মৃত্যু নিবন্ধন করার জন্য আহবান করবে ।  সেই সাথে সরকার দেশে সর্বস্তরের জনগঙকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনয়ন এবং নিন্ম আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সুবিধার্থে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছেন। এ স্কিমে বিশাল জনগোষ্ঠীর বার্ধক্য জীবনে আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়ে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ বিষয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ ও বিধিমালা ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়াদি নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক নানারকমের সভার আলোচনাও করা হয়ে , এই স্কিমটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি এবং সর্বস্তরের জনগনকে এই বিষয়ে আগ্রহী করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহবান জ্ঞাপন করছি ।



**৭ম আলোচনা ও সিধান্তঃ ৭ম আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে, তীব্র গরমে বিশেষত শিশু ও কিশোর, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ এবং খেটে খাওয়া শ্রমিক ও মজুরদের কষ্ট ও ঝুঁকি বেশি। কর্মজীবী, শিক্ষার্থীসহ যাদের বাইরে যেতে হয় এবং যারা ঘরে থাকেন তাদের কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত। যেমন-

১. বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে।

২. শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করতে হবে এবং বাইরে বের হওয়ার সময় পানি, শরবত বা স্যালাইনের বোতল বহন করতে হবে।

৩. সরাসরি রোদ এড়িয়ে ছায়াযুক্ত স্থান দিয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

৪. ভারি ও কালো কাপড় বাদ দিয়ে হালকা রং ও পাতলা কাপড় পরতে হবে।

৫. ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন এবং প্রয়োজনে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।

৬. খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না। বিশেষত যারা হৃদরোগ, লিভার ও কিডনির স্থায়ী রোগে ভুগছেন তাদের।

৭. সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সময় তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই এই সময়ে বাইরের কাজ কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।

৮. শ্রমিক ও রিকশাচালকদের মাথায় ক্যাপ কিংবা কাপড় ব্যবহার করতে হবে।

৯. একটানা কেউ রোদে কাজ করবেন না। কাজের মধ্যে কিছু সময় পরপর ছায়াযুক্ত জায়গায় বিশ্রাম নিতে হবে।

১০. বারবার মুখ ও শরীরে পানির ঝাপটা দিতে হবে, বারে বারে পানি পান করতে হবে। হালকা লবণ মিশ্রিত পানি কিংবা স্যালাইন এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারী।

এসকল বিষয়ে সকলকে জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেই সাথে প্রয়োজন হলে মাইকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে জনগণকে সচেতন করা যায়।

৮। **৮ম আলোচনা ও সিধান্তঃ ৮ম আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে, গ্রাম আদালত হলো গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় যে আদালত গঠিত হয় সে আদালত হলো গ্রাম আদালত।  উচ্চ আদালতের চাপ কমানোর জন্য গ্রাম আদালতের মাধ্যমেই মীমাংসা করে দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান সাহেবকে বলা হয় । গ্রাম আদালত গ্রামাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত অনুগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুবিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এখতিয়ার সম্পূর্ন এলাকার জনগণ ফৌজদারী হলে ১০টাকা এবং দেওয়ানী হলে ২০টাকা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে এই মামলা দায়ের করতে পারে। গ্রাম আদালতের এখতিয়ার সম্পূর্ন মামলা অন্য কোন আদালত গ্রহন করতে পারে না। গ্রাম আদালতে মামলা করলে কোন আইনজীবির প্রয়োজন হয় না। যার কারনে মামলা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোন সুযোগ নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গন্যমান্য বিচারকের উপস্থিতিতে এই আদালত বসে। যে আদালতে বিচারক সংখ্যা হলো ০৫জন। দুই জন মনোনীত সদস্য থাকবেন আবেদনকারীর পক্ষে এবং ০২ জন সদস্য হবেন প্রতিবাদীর পক্ষে। যার মধ্যে একজনকে অবশ্যই হতে হবে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এই বিচার অনুষ্ঠিত হয় বলে এখানে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। গ্রাম আদালতের মামলা বিচার সুস্থভাবে সম্পন্ন করার জন্য হিসাব সহকারীকে সার্বিক সহায়তা করার জন্য এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সরকার – এর যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়)” প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।আগষ্ট ২০২৩ হতে জুন ২০২৭ ইং মেয়াদে “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পটি  ঢাকা বিভাগসহ ১৫টি জেলায় দাতা সংস্থার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এর তত্ত্বাবধানে ইউএনডিপি এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এবং গ্রাম আদালতকে আরো সচ্চার করার জন্য সকলের সাহায়তা কামনা করছেন । সেই সুবাদে সকলের জন্য গ্রাম আদালত সহজীকরন এবং জনগণ যাতে এই আদালত কে আস্তা করে সুষ্ঠ বিচার পায় সেই জন্য সকলকে বেগবান হয়ে কাজ করার আহবান জানান।

৯। *৯ম আলোচনা ও সিধান্তঃ ৯ম আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে, অত্র কোলা ইউনিয়নের আওত্তায় ০৫নং ওয়ার্ড সদস্য জনাব মোঃ সুজন গত ফেব্রুয়ারী/২০২৪ মাসের ২৮ তারিখ হতে অনুপস্থিত রয়েছে, তিনি ফেব্রুয়ারি/২০২৪,মার্চ/২০২৪,এপ্রিল/২০২৪,মে/২০২৪ এই কয়মাস ইউপির কোনো সভায় উপস্থিত হয় নাই এবং তাকে নোটিশ করে বাড়িতেও পাওয়া যায় নাই,লোকমুখে ও তার পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা যায় বর্তমানে সে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন না,সে সুদূর কানাডায় অবস্থান করে। তার ফেইসবুক আইডি থেকে জানা যায় যে সে এখন কানাডায় বসবাস করছে। সে ইউপি কে কোনো প্রকার অবহিত না করে ছুটি না নিয়েই চলে গেছেন । বহিঃ বাংলাদেশ গমনে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ছুটি নিয়ে যাওয়ার বিধান থাকলেও ০৫নং ওয়ার্ড সদস্য জনাব মোঃ সুজন ছুটি না নিয়েই চলে গেছেন। তাছাড়া কোনো সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে পরপর ৩টি মাসিক সভায় উপস্থিত না থাকলে তার সদস্য পদ সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করার বিধান আছে। এমতাবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন ভাবে খোজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছে যে, তার বর্তমানে দেশে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই  কোলা ইউনিয়ন পরিষদ ০৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সুজনের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সাথে নিয়ে এবং ০৫নং ওয়ার্ডের জনগনের  বিভিন্ন সরকারী সেবা নিয়মিত পাওয়ার লক্ষ্যে ০৫ নং ওয়ার্ডের  পুরুষ সদস্যের পদটি শূন্য ঘোষণা করে  উপ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণের সিধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয় ।অতি দ্রুত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজদিখান কে  অবহিতকরণের মাঘ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সিধান্ত গৃহিত হয়।


সভায় আর কোনো আলোচনা না থাকায় সভাপতি সাহেব উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।  


মার্চ /২০২৩ মাসের মাসিক সভার কার্যবিবরনী

সভার তারিখঃ২৪/০৩/২০২৩ইং

অদ্যকার সভার সভাপতিত্ব করেন অত্র কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব এ,এইচ,এম সাইফুল ইসলাম। প্রথমেই তিনি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য।অতপরঃ আলোচ্যসূচি অনুযায়ী সভার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্র পরিষদের সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনকে আহবান করেন।

সভার বিবেচ্য বিষয় ও আলোচনাঃ

১।বিগত সভার কার্যবিবরনী পাঠ ও অনুমোদন।

২। ০৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃসুজনের পর পর ০২ মাস অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা।

৩। ১৭ ই মার্চ শিশু দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর জন্মদিন পালন।

৪। টিসিবি কার্ড বিতরণ।

৫। ০২ জন চৌকস গ্রামপুলিশকে এসপি অফিসে পাঠানো নিয়ে আলোচনা।

৬।গ্রাম আদালত নিয়ে আলোচনা।

**১ম আলোচনা ও সিধান্তঃ ১ম আলোচনায় বিগত সভার কার্যবিবরনী পাঠ করে শুনানো হয় এবং এতে কোনো প্রকার সংশোধনী না থাকায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের সিধান্ত গৃহিত হয়।

**২য় আলোচনা ও সিধান্তঃ ২য় আলোচনায় অত্র পরিষদের সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন সবাইকে জানান যে,  সকলকে আইনের আওত্তায় থাকতে হবে ,এবং সরকারী আইন সমূহ যথাযথ পালন করতে সকলকে আহবান জানান,এবং এলাকায় শান্তি বিরাজ রাখার জন্য সকলের সাহায্য সহযোগিতা প্রত্যাশা জ্ঞাপন করে এবং ব্যাপক আলাপ আলোচনা করে নিম্মলিখিত  সিধান্ত গৃহিত হয়ঃ

১। প্রতি শুক্রবার জুম্মার খুতবায় সন্ত্রাশ ও জজ্ঞীবাদের কুফল ও জাতীয় মসজিদ বাইতুল জামে মসজিদের খুতবা পাঠ করতে হবে।

২। সমাজের প্রতিটি পরিবারের তাদের সন্তান্দের খোজ খবর রাখতে হবে যেন তারা সন্ত্রাস ও জজ্ঞীবাদে জড়িত না হয়।

৩। সমাজে কোন বিশৃংখলা না ঘটে এমন কোনো মতবাদ প্রচার করা যাবে না।

৪। প্রত্যেক ওয়ার্ড কমিটির সভায় সন্ত্রাস ও জজ্ঞীবাদের এর কুফল নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

৫। একজন মাদক সেবন কারী ব্যক্তি একটি পরিবার ধংস করার জন্যই যতেষ্ট এবং একটি সমাজ ও জাতিও ধংস করে দেয়।  মাদকদ্রব্য মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। দেশে এখন কত রকমের মাদক আসছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। দেশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের বিস্তার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল- সর্বত্রই এখন হাতের নাগালে পাওয়া যায় এসব। বিগত বছরগুলোয় এর বিস্তার ঘটেছে আশঙ্কাজনকভাবে।





মাদকদ্রব্য কেনাবেচা ও সেবনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হচ্ছে ভয়ংকর সব অপরাধ। কাজেই মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব না হলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকার পরও মাদকের অবৈধ প্রবেশ ও ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাহিদার কারণেই এমনটি হচ্ছে। তাছাড়া শর্ষের ভূতের কারণেও এক্ষেত্রে সুফল মিলছে না। মাদকের বিস্তার রোধে সরকারকে অবশ্যই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে সেই সাথে ইউনিয়ন পর্যায়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

৬। বাল্যবিবাহ যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।  evj¨weevn wb‡q cwil‡` BwZg‡a¨ e¨vcK Av‡jvPbv n‡q‡Q| Gi Av‡M wmivRw`Lvb Dc‡Rjvi cÖ‡Z¨KwU BDwbqb‡K evj¨weevn gy³ †Nvlbv Kiv nq| GB j‡ÿ¨ e¨vcK cÖPvi cªPviYv P‡j| বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমাদের প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো মেয়েদের নিরাপদ পথচলা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, রাস্তাঘাট ও গণপরিবহনকে নারীবান্ধব ও যৌন হয়রানিমুক্ত করতে হবে। যৌতুক নিরোধ আইনে সাজার পরিমাণ বাড়িয়ে আইনকে যুগোপযোগী করার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে , Avi GKwU Kb¨v wkïiI hv‡Z evj¨ weevn bv nq †m wel‡q mfvq me©m¤§wZµ‡g wm×všÍ M„nxZ nq|


**৩য় আলোচনা ও সিধান্তঃ 3q Av‡jvPbvq mfv‡K Rvbv‡bv nq †h, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন মন্ত্রিসভা ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে "জাতীয় শিশু দিবস" হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ থেকে দিনটি সরকারিভাবে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাই প্রতিবছর ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী শিশুদের নিরাপত্তা এবং শিশু অধিকার সংরক্ষণের জন্য একটি দিনকে নির্ধারণ করা হয়। ওই দিনটি শুধুমাত্র শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সুবাদে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছে।১৭ মার্চ  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছে সাথে ইউনিয়ন পর্যায়ে কেক কাটা হয়েছে , mKvj 9Uvq এই w`em Dcj‡ÿ¨ Av‡jvPbv করা হয় এবং mKvj 10Uvq RvwZi RbK e½eÜ mn mKj knx`‡`i আত্মার gvMwdivZ Kvgbv mn evsjv‡`‡ki g½j Kvgbv K‡i wgjv`-gvnwdj, †`vqv I ZeviK weZib Kiv হয়| বিদ্যালয়ের শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো

**৪র্থ আলোচনা ও সিধান্তঃ ৪র্থ আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে, ২০২৩-২০২৪ A_©eQ‡ii Rb¨ ১% Lv‡Z eivÏ cvIqv †M‡Q| D³ eivÏ `¦viv mfvq e¨vcK Av‡jvPbvi ci wb¤œwjwLZ cÖKí¸‡jv ev¯Íevq‡bi wm×všÍ M„nxZ nq: 

ক্রমিক নং

স্কিমের নাম

অবস্থান

ধরন

প্রয়োজনীয় বরাদ্দ

কোলা কবরস্থান সংলগ্ন আর,সি,সি কালভার্ট ও ইটের রাস্তা সংস্কার

কোলা

যোগাযোগ

১৮০০০০/=

নন্দনকোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের অবশিষ্টাংশ মাটি দ্বারা ভরাট

নন্দনকোনা

শিক্ষা

৩২০০০০/=

রক্ষিতপাড়া ক্লাবের পূর্ব পার্শ্ব হতে মিরাজ মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট

রক্ষিতপাড়া  

যোগাযোগ

৩০০০০০/=

জীবসরা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ঘাটলা উন্নয়ন

জীবসরা

অন্যান্য

২০০০০০/=



সভায় আর কোনো আলোচনা না থাকায় সভাপতি সাহেব উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।  



জানুয়ারি/২০২৪ মাসের মাসিক সভার কার্যবিবরনী

সভার তারিখঃ ১৮/০১/২০২ইং

স্থানঃ কোলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়

অদ্যকার সভার সভাপতিত্ব করেন অত্র কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব এ,এইচ,এম সাইফুল ইসলাম। প্রথমেই তিনি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য।অতপরঃ আলোচ্যসূচি অনুযায়ী সভার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্র পরিষদের সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনকে আহবান করেন।

সভার বিবেচ্য বিষয় ও আলোচনাঃ

১।বিগত সভার কার্যবিবরনী পাঠ ও অনুমোদন।

 ২। আইন শৃঙ্খলা, মাদক ও বাল্যবিবাহ নিয়ে আলোচনা।

৩। মাতৃত্বকালীন ভাতায় ০৬ জন উপকারভোগী নির্বাচন ।

৪। বয়স্ক-বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচির পুনঃস্থাপন ।

৫। শীতার্থদের ও দরিদ্র জগণের মাঝে কম্বল বিতরণ ।

৬। গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ।

**১ম আলোচনা ও সিধান্তঃ ১ম আলোচনায় বিগত সভার কার্যবিবরনী পাঠ করে শুনানো হয় এবং এতে কোনো প্রকার সংশোধনী না থাকায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের সিধান্ত গৃহিত হয়।

 **২য় আলোচনা ও সিধান্তঃ ২q Av‡jvPbvq ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে,  সকলকে আইনের আওত্তায় থাকতে হবে ,এবং সরকারী আইন সমূহ যথাযথ পালন করতে সকলকে আহবান জানান,এবং এলাকায় শান্তি বিরাজ রাখার জন্য সকলের সাহায্য সহযোগিতা প্রত্যাশা জ্ঞাপন করে এবং ব্যাপক আলাপ আলোচনা করে নিম্মলিখিত  সিধান্ত গৃহিত হয়ঃ

১। প্রতি শুক্রবার জুম্মার খুতবায় সন্ত্রাশ ও জজ্ঞীবাদের কুফল ও জাতীয় মসজিদ বাইতুল জামে মসজিদের খুতবা পাঠ করতে হবে।

২। সমাজের প্রতিটি পরিবারের তাদের সন্তান্দের খোজ খবর রাখতে হবে যেন তারা সন্ত্রাস ও জজ্ঞীবাদে জড়িত না হয়।

৩। সমাজে কোন বিশৃংখলা না ঘটে এমন কোনো মতবাদ প্রচার করা যাবে না।

৪। প্রত্যেক ওয়ার্ড কমিটির সভায় সন্ত্রাস ও জজ্ঞীবাদের এর কুফল নিয়ে আলোচনা করতে হবে।




৫। একজন মাদক সেবন কারী ব্যক্তি একটি পরিবার ধংস করার জন্যই যতেষ্ট এবং একটি সমাজ ও জাতিও ধংস করে দেয়।  মাদকদ্রব্য মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। দেশে এখন কত রকমের মাদক আসছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। দেশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের বিস্তার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল- সর্বত্রই এখন হাতের নাগালে পাওয়া যায় এসব। বিগত বছরগুলোয় এর বিস্তার ঘটেছে আশঙ্কাজনকভাবে।মাদকদ্রব্য কেনাবেচা ও সেবনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হচ্ছে ভয়ংকর সব অপরাধ। কাজেই মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব না হলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে। তাই কোলা ইউনিয়ন পরিষদ এর সকলে আইন শৃংখলাবাহিনীর সাথে একযোগে কাজ করতে হবে এবং সময়ে সময়ে তাদের সাথে ওয়ার্ডে গিয়ে টহলের ব্যবস্থা করতে হবে  এই  সিধান্ত সর্ব সম্মতি ক্রমে গৃহীত হয়।  


**৩য় আলোচনা ও সিধান্তঃ ৩য় আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে, কোলা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত মার্তৃত্বকালীন ভাতার কর্মসূচির জানুয়ারি/২০২৪ মাসের ০৬ জন দরিদ্র মাতার তালিকা ও তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি সভায় সকলের সিধান্ত অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে  নির্বাচন করা হয়েছে নিন্মে তাদের তালিকাটি দেয়া হলো।


ক্র.নং

নাম

পিতা/স্বামীর নাম

মাতার নাম

ঠিকানা

মোবাইল নম্বর

স্বরস্বতী দেবনাথ

সাধন দেবনাথ

সুমিত্রা দেবনাথ

নন্দনকোনা ০১ নং ওয়ার্ড

০১৭৮১৩৬৬৬৪৮

আফরোজা সুলতানা

আবুল বাশার

সালেহা বেগম

ছাতিইয়ানতলী  ০৭নং ওয়ার্ড

০১৬২৮৯৯৯০৮৪

রোপান্ত আক্তার রুপা

মোঃ নজরুল ইসলাম

ঝুনু বেগম  

পাড়াভোম ০১নং ওয়ার্ড

০১৮২২৫৫৬৪৩৬

সুরাইয়া আক্তার

মোঃ ইদ্রিস

জহিরুল ইসলাম

থৈরগাও ০৯ নং ওয়ার্ড

০১৯০৯৯৬৪২৯৭

সুমাইয়া আক্তার

মোঃ লিটন

বকুলি বেগম

থৈরগাও ০৯ নং ওয়ার্ড

০১৯৮৯৬৭০৪২৩

লাবনী আক্তার তাহমিনা

মোঃ সুরুজ মল্লিক

চায়না বেগম

কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড

০১৭৬৬১০৭৭৩৯


**৪র্থ আলোচনা ও সিধান্তঃ ৪র্থ আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে,কোলা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী মৃত্যু ভাতাভোগী ব্যক্তিদের পরির্বতে নতুন ব্যক্তিদের প্রতিস্থাপনের জন্য নামের তালিকা ও তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি সভায় সকলের সিধান্ত অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে  নির্বাচন করা হয়েছে নিন্মে তাদের তালিকাটি দেয়া হলো।

ক্রমিক


মৃত্যু ব্যক্তির নাম

আইডি নং

ঠিকানা

ভাতার বই নং

প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন ব্যক্তির নাম

আইডি নং

ঠিকানা

মন্তব্য

আব্দুস সোবহান হাওলাদার

৫৯১৭৪৫৪০৬৮৫০২

কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড

০৫/৮৫৮৫

মোঃ বাবুল খাঁন

৫৯১৭৪৫৪০৬৮০৩৫

কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

মনু ধোপী


কোলা ০৪ নং ওয়ার্ড

৪/১৪(১)

আলী হোসেন

৫৯১৭৪৫৪০৬৯৪২৮

রক্ষিতপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

নুরজাহান বেগম


কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড


সুফিয়া বেগম

৫৯১৮৪১১৬৭৪৫৬৪

কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

সেক মোহাম্মদ


কোলা ০৪ নং ওয়ার্ড

৪/০৭

মোঃ দেলোয়ার শেখ

৫৯১৭৪৫৪০৬৯২৯১

রক্ষিতপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

ইব্রাহীম মলিক


কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড


মোঃ খোরশেদ মোল্লা

৫৯১৭৪৫৪০৬৮১৮৯

কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

জিন্নাত খাতুন


কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড


রওশন আরা বেগম

৫৯১৭৪৫৪০৬৮১০৩

কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

মোসাঃ আনোয়ারা বেগম


কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড


রশিদ

৫৯১৭৪৫৪০৬৯৪৬

রক্ষিতপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড

প্রতিবন্ধী

আজিজ বেপারী


কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড


ইদ্রিস শেখ

৫৯১৭৪৫৪০৬৮৪২১

কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

আব্দুল রাজ্জাক


কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড


মোঃ জিন্নাত আলী

২৬১৩৪৫১২৮৫৭৪৩

কোলা ০৪ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

১০

সবুজ আলী

৫৯১৭৪৫৪০৬৮৩২৪

কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড


সাফিয়া বেগম

৫৯১৭৪৫৪০৬৭৬৭৮

কোলা ০৪ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

১১

সুফিয়া বেগম

৫৯১৭৪৫৪০৬৯২৬৭

রক্ষিতপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড

৬/৯৩৫৬

রওশন আরা

৫৯১৭৪৫৪০৬৯৬৭৯

রক্ষিতপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

১২

ফিরুজা বেগম


কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড


খোদেজা বেগম

৫৯১৭৪৫৪০৬৯১৮৫

রক্ষিতপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

১৩

রোকেয়া বেগম


রক্ষিতপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড

১৩৭

ময়না বেগম

৫৯১৭৪৫৪০৭০৩৮৯

রক্ষিতপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড

বিধবা

১৪

জবেদা বেগম


কোলা ০৪ নং ওয়ার্ড

৪/১৯

রোকেয়া বেগম

৫৯১৭৪৫৪০৬৭৪৭২

কোলা ০৪ নং ওয়ার্ড

বিধবা

১৫

জানু বেগম


কোলা ০৪ নং ওয়ার্ড

১২/১৭৭৬/০৮

মায়া বেগম

১৯৯১৫৯১৭৪৫৪০০০০৮৯

কোলা ০৪ নং ওয়ার্ড

বিধবা

১৬

খোকন মাঝি


কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড

৫/১৮৩

আম্বিয়া বেগম

৫৯১৭৪৫৪০৬৯৫০৪

রক্ষিতপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড

বয়স্ক

১৭

চুন্নু মল্লিক


কোলা ০৫ নং ওয়ার্ড


মোঃ সিদ্দিক সরদার

৫৯১৭৪৫৪০৬৭৭৩৮-০২

কোলা ০৪ নং ওয়ার্ড

প্রতিবন্ধী

১৮

আলেয়া বেগম

৫৯১৭৪৫৪০৬৭৩৭৩

কোলা ০৪ নং ওয়ার্ড


মিজানুর রহমান

২০০৮৫৯১৭৪৫৪১০০৩২৯-০২

রক্ষিতপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড

প্রতিবন্ধী



**৫ম আলোচনা ও সিধান্তঃ ৫ম আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে, অত্র কোলা ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ৫০টি কম্বল দরিদ্র ও শীতার্থদের মাঝে বিতরণ করার জন্য কম্বল আসে, সেই কম্বল চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সিধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন ওয়ার্ডের দরিদ্র ও শীতার্থদের মাঝে বিতরণ করার সিধান্ত সর্বসম্মত্তিক্রমে গৃহীত হয়।



**৬ষষ্ঠ আলোচনা ও সিধান্তঃ ৬ষ্ঠ আলোচনায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান যে,  গ্রাম আদালত হলো গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় যে আদালত গঠিত হয় সে আদালত হলো গ্রাম আদালত। সহজ কথায় গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে ৭৫০০০টাকা মূল্যমানের দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যে আদালত বসে সে আদালতেই হলো গ্রাম আদালত, এবং উচ্চ আদালতের চাপ কমানোর জন্য গ্রাম আদালতের মাধ্যমেই মীমাংসা করে দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান সাহেবকে বলা হয় । গ্রাম আদালত গ্রামাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত অনুগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুবিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এখতিয়ার সম্পূর্ন এলাকার জনগণ ফৌজদারী হলে ১০টাকা এবং দেওয়ানী হলে ২০টাকা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে এই মামলা দায়ের করতে পারে। গ্রাম আদালতের এখতিয়ার সম্পূর্ন মামলা অন্য কোন আদালত গ্রহন করতে পারে না। গ্রাম আদালতে মামলা করলে কোন আইনজীবির প্রয়োজন হয় না। যার কারনে মামলা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোন সুযোগ নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গন্যমান্য বিচারকের উপস্থিতিতে এই আদালত বসে। যে আদালতে বিচারক সংখ্যা হলো ০৫জন। দুই জন মনোনীত সদস্য থাকবেন আবেদনকারীর পক্ষে এবং ০২ জন সদস্য হবেন প্রতিবাদীর পক্ষে। যার মধ্যে একজনকে অবশ্যই হতে হবে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এই বিচার অনুষ্ঠিত হয় বলে এখানে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। গ্রাম আদালতের মামলা বিচার সুস্থভাবে সম্পন্ন করার জন্য হিসাব সহকারীকে সার্বিক সহায়তা করার জন্য এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সরকার – এর যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়)” প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।আগষ্ট ২০২৩ হতে জুন ২০২৭ ইং মেয়াদে “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পটি  ঢাকা বিভাগসহ ১৫টি জেলায় দাতা সংস্থার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এর তত্ত্বাবধানে ইউএনডিপি এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এবং গ্রাম আদালতকে আরো সচ্চার করার জন্য সকলের সাহায়তা কামনা করছেন ।


সভায় আর কোনো আলোচনা না থাকায় সভাপতি সাহেব উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।